মাঠের লড়াইয়ে ফেভারিট ছিল চেলসি। কিন্তু প্রথমার্ধের পারফরম্যান্সে তার প্রমাণ ঠিক দিতে পারেনি স্বাগতিকরা। তবে দ্বিতীয়ার্ধে দাপুটে খেলে আধিপত্য বিস্তার করে গেছে দ্য ব্লুজ শিবির। সে সুবাদেই সফরকারী ওয়ান্ডারার্সকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে এ ইংলিশ জায়ান্ট।
এ নিয়ে লিগে পাঁচ ম্যাচ পর জয়ের ধারায় ফিরল চেলসি। দারুণ এ জয়ে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ চারে ফিরল কোচ এনজো মারেস্কার শিষ্যরা।ম্যাচের ২৪ মিনিটেই পিছিয়ে পড়েছিল উলভস। স্বাগতিক চেলসিকে লিড এনে দেন তোসিন আদারাবিয়ো। বিরতিতে যাওয়ার আগেই সমতাসূচক গোলের সন্ধান পায় অতিথি উলভস। প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে (৪৫+৫ মিনিট) কর্নার পায় সফরকারীরা। কর্নার থেকে পাস পেয়েই ডান পায়ের দুর্দান্ত শটে প্রতিপক্ষের জাল কাঁপান ম্যাট ডোহার্টি। বিরতির পর ঘরের মাঠে দাপুটে পারফরম্যান্স দেখাতে থাকে চেলসি। ম্যাচের বয়স এক ঘণ্টা পূর্ণ হতেই ম্যাক কুকুরেলার গোলে ফের লিড নেয় চেলসি। প্রিমিয়ার লিগে ১০০তম ম্যাচ খেলার মাইলফলক স্পর্শ করা কুকুরেলার এ গোলে অ্যাসিস্ট করেন কিয়েরনান দেসবুরি। পাঁচ মিনিট বাদে গোল ব্যবধান ৩-১ এ নিয়ে যান ননি মাদুয়েকে। ট্রেভোহ চালোবাহর উড়িয়ে মারা বলে মাথা ছুঁয়ে জালে জড়ান মাদুয়েকে। পরে আর কোনো গোল না হওয়ায় এই ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে মাঠ ছাড়ে চেলসির খেলোয়াড়রা।
ম্যাচে ভুলের পর ভুল করে গেছেন চেলসির গোলরক্ষক রবার্ট
সানচেজ। তার ভুলেই প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে সমতাসূচক গোল করেন উলভসের ডোহার্টি। চলতি মৌসুমে এটা ছিল ম্যাচে তার চতুর্থ ভুল। প্রিমিয়ার লিগে তার চেয়ে বেশি পাঁচটি ভুল করেছে ইপসউইচের আরিজানেট মুরিক। কিন্তু তারপরও ম্যাচ শেষে সানচেজের পক্ষেই কথা বললেন কোচ মারেস্কা, ‘আপনি বলছেন চারটি ভুল করেছে সানচেজ। আর সেভ করেছে কতবার? চার বারের বেশি। তাই এটা কোনো সমস্যা নয়। এমনটা হয়েই থাকে। ভুল সে করে, স্ট্রাইকার, মিডফিল্ডাররাও করে। ভালো খেলেছে সে।’