প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প তার অভিষেক ভাষণে বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও ঐক্য বজায় রাখায় ভূমিকা রাখার আশা প্রকাশ করেছেন। ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতি কার্যকরের কথাও তুলে ধরেছেন তিনি। এর পাশাপাশি বিশ্ববাসীকে দিয়েছেন কড়া বার্তা।
তার ভাষণে ছিল বিশ্বকে আরো কঠোর ও চ্যালেঞ্জিং করার ইঙ্গিত। বক্তব্যে ছিল আমেরিকাকে আরো শক্তিমান ও সম্ভাবনাময় করার ফুলঝুরি। আমেরিকার পথে যারা বাধা হবেন, তাদের হুমকিও দিয়েছেন ট্রাম্প।
পানামা খাল নিয়েও কথা বলেন ট্রাম্প। বলেন, এটি ‘পানামার জন্য বোকার মতো উপহার’। পানামা খাল নিয়ে কিছু একটা করার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। বলেন, ‘আমরা এটি ফিরিয়ে নিচ্ছি’।
পানামা খাল খননে যুক্তরাষ্ট্রের বড় ভূমিকা ছিল। যুক্তরাষ্ট্র খালটি নির্মাণ করে কয়েক দশক এর আশপাশের এলাকায় প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করেছে। এরপর তারা যৌথভাবে পানামার সঙ্গে খালটি পরিচালনা করে। ১৯৯৯ সালে যুক্তরাষ্ট্র খালটি ছেড়ে দিয়েছিল পানামাকে।
ট্রাম্প অবশ্য আগেই বলেছিলেন, পানামা এর ব্যবস্থাপনা ঠিকমতো পরিচালনা করতে না পারলে এটি যুক্তরাষ্ট্রকে দিয়ে দেয়ার দাবি জানাবেন।
অভিষেক ভাষণে ট্রাম্প মেক্সিকো উপসাগর নিয়েও কথা বলেন। এটি এখন থেকে ‘আমেরিকা উপসাগর’ নামে পরিচিত হবে- উল্লেখ করেন ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্র তার সীমানা সম্প্রসারণ করবে বলেও উচ্চারণ করেন ট্রাম্প। বলেন, আমেরিকা সম্পদ এবং ভূখণ্ড বাড়াবে। মঙ্গল গ্রহে আমেরিকার পতাকা স্থাপনের প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি।
মাদক চক্র এবং সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোকে হুমকি দিয়েছেন তিনি। বিশ্ব অর্থনীতিতে শুল্ক আরোপের কথা আবারও উল্লেখ করেছেন ট্রাম্প।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমাদের নাগরিকদের সমৃদ্ধ করতে বিদেশের ওপর শুল্ক ও কর আরোপ করব’ আমরা।