কোরআনের তাফসির বা মাহফিল উপমহাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় ও মুসলিম সামাজিক ঐতিহ্য। কোরআনের তাফসিরের মাধ্যমে মানুষকে শুধু নৈতিক শিক্ষাই দেওয়া হয় না বরং মুসলমানদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ, পারস্পরিক সহযোগিতা বোধ জাগিয়ে তোলা ও ধর্মীয় মূল্যবোধ জাগ্রত করা হয়। ব্রিটিশ শাসনের সময় উপমহাদেশে ইসলামী মূল্যবোধ ও মুসলমানদের মধ্যে ঐক্য ধরে রাখার জন্য তাফসির মাহফিল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সেসময় উর্দু, বাংলা ও স্থানীয় ভাষায় মাহফিলগুলো ধর্মীয় ও সামাজিক আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে।
শেখ হাসিনার শাসনামলে মুসলিম সামাজিক এ ঐতিহ্যকে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। যারা মানুষকে কোরআনের কথা শুনিয়েছেন তাদেরকে বিনা অভিযোগে ধরে নেওয়া হয়েছে। গুম করার চেষ্টা করা হয়েছে। দিনের পর দিন রিমান্ডের নামে চালানো হয়েছে অকথ্য নির্যাতন। শুধু কোরআনের কথা বলার জন্য রিমান্ডে নিয়ে বিবস্ত্র করে গোপনাঙ্গে কারেন্টের শক দেওয়া হয়েছে।
তাফসির মাহফিলে কোরআনের সুরার শাব্দিক অর্থ, নাজিল হওয়ার কারণ ও ব্যাখ্যার পাশাপাশি সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে ইসলাম ও মুসলমানদের বিরোধিতাকারী ও ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে কথা বলেন আলেম সমাজ। কোরআরানের আলোকে কথা বলা ও ফ্যাসিস্টদের সমালোচনা করার জন্য মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগে আলেমদের রিমান্ডের নামে নির্যাতন চালানো হতো।